শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘ধর্ষণ মামলার আসামিকে চেয়ারম্যান বানাতে পাগল হয়ে গেল কারা’

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৪

ফরিদপুর-৪ আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, গত ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে যুবদলের নেতা, ধর্ষণ মামলার আসামিকে চেয়ারম্যান বানাতে উঠেপড়ে লেগেছিল কারা? দিনভর বিনা অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হয়রানি, আটক করার কারণ কি? আমি খুন করি নাই, চুরি করি নাই, ধর্ষণ করি নাই, ডাকাতি করি নাই আমার ভয় নাই। মামলা একটা খাইছি, আমার কর্মীর জন্য এমন ১০০ মামলা খাইতেও আমি সব সময় প্রস্তুত আছি। 

আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ওরফে ভিপি মুসার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন এমপি নিক্সন চৌধুরী।

এসময় নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমি উপজেলাবাসীর কাছে জানতে চাই, যুবদল নেতা ওবায়দুল বারী দিপু খা ধর্ষণ মামলার ২ নং আসামি, ওই মামলার ১নং আসামি তার ভাই রাশেদুল বারী। ওই মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে, মামলাটি তারা উচ্চ আদালত থেকে স্টে করে রেখেছে। এই ওয়ায়দুল বারী দিপু খা পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ভাঙন কবলিত চরভদ্রাসন উপজেলাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সেই দিপু খাকে নির্বাচনে জিতাতে কেন উঠেপড়ে লাগলো প্রশাসন। 

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ চীনের

নিক্সন চৌধুরী এসময় বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দিন রাত এক করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি, পরিবার ছেড়ে আপনাদের পাশে রয়েছি। করোনাকালেও প্রতি সপ্তাহে আপনাদের কাছে গ্রামে গ্রামে ছুটেছি আমি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মহানগর সব জায়গায় উন্নয়নের জোয়ার চলছে। অন্য দিকে ভূমি অফিসে যান, টাকা ছাড়া কাজ হবে না, উপজেলায় যাবেন টাকা ছাড়া কাজ হবে না। ভূমি অফিস হয়েছে এখন একটি দুর্নীতির আখড়া। উন্নয়ন মানে শুধু রাস্তা, কালভার্ট, ভবন নির্মাণ না, সরকারি অফিসে জনগণের কাজকে সহজ ও স্বচ্ছ করাও উন্নয়ন। আজ ওই অফিসে বসে থাকা কর্তাদের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। 

তিনি এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই সকল অফিসের দুর্নীতির বিচার চান। এসময় উপস্থিত হাজারো জনতা বিচার চাই বিচার চাই শ্লোগান দেন।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে দিন আমার এক নিরীহ কর্মীকে বিনা অপরাধে ধরা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করে মামলা খেয়েছি। গত ৭ বছর আপনারা আমাকে যেভাবে ভালবাসা দিয়েছেন, দোয়া দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, আগামীতেও সেভাবে আমার পাশে থাকবেন। কর্মীর জন্য আমি ১’শ মামলা খেলেও আমার কোন দুঃখ থাকবেনা, শুধু আপনারা পাশে থাইকেন বিগত দিনের মত।

এমপি নিক্সন এসময় প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে স্মরণ করে বলেন, সদালাপী ও পরোপকারী একটা মানুষ ছিলেন মুশা ভাই। তার সাথে চরে রাতও কাটিয়েছি। সব সময় মানুষেরে ও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করতেন। এত অল্প দিনে তিনি চলে যাবেন, ভাবতে পারিনি। তার চলে যাওয়া শুধু মাত্র আমাদের না, পুরো উপজেলাবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে এনেছে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্যার সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন, চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন খানম, জেলা পরিষদের সদস্য বিউটি আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মোল্যা প্রমুখ। 

ইত্তেফাক/এএএম