শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডিসির নির্দেশনা অনুযায়ী মাদারীপুরে ঘুষ-দুর্নীতি রুখতে কঠোর ব্যবস্থা 

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০১:৫৩

ডিসির নির্দেশনা অনুযায়ী মাদারীপুরে অন্যায়-অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতি রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কিছুদিন আগেও যেখানে মানুষের মুখে এলএ শাখা সম্পর্কে ছিল নানান অভিযোগ। 

গত ২৭ জুলাই ড. রহিমা খাতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে মাদারীপুরে যোগদান করেন। যোগদান করার কিছুদিন পর তিনি জেলার ৪ উপজেলার ইউএনওসহ একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

বৈঠকে তিনি সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিগত দিনের ডিসি সাহেবরা যেভাবে চালিয়েছে আমি একটু ব্যতিক্রম চালাব। কারণ আমি নিজে দুর্নীতি করব না অন্যকে দুর্নীতি করতে দিব না। এর পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। 

অন্যায়-অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি রুখতে কঠোর ব্যবস্থাসহ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৃতীয় তলায় ফ্লোরম্যাপ, প্রজেক্টর, সিসি ক্যামেরা, সহায়তা কেন্দ্র, মন্তব্য রেজিস্ট্রার, জনগণের বসার স্থান ও মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা বসার জায়গা ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও সার্ভেয়ার মো. মাঈনুল হাসান কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত আমাদের কাজ করে দিয়েছে। তাদের ব্যবহার অনেক ভালো। শুধু আমার সাথে নয় সেবা নিতে আসা প্রতিটি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করে তারা।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক বলেন, সেবা নিতে আসা প্রতিটি মানুষের সাথে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভালো ব্যবহার করেন। কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত তাদের কাজ করে দেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমি সার্বক্ষণিক সার্ভেয়ারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের তদারকি করি। আমার অফিস রুমের দরজা সব সময় খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য। তারা আমার কাছে এসে তাদের সমস্যার কথা বলে। আমি মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনি এবং দ্রুত তাদের কাজ করে দেই। 

ইত্তেফাক/এএএম