শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’ পেল জুড়ীর ২৪ পরিবার

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০৭:১১

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ২৪ টি গৃহহীন হতদরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’ পেয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির আওতায় ওই ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষে ঘরের মালিকদের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের বিশেষ বরাদ্দ দ্বারা গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২৪টি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। জায়ফরনগর, পূর্বজুড়ী, পশ্চিমজুড়ী, ফুলতলা, সাগরনাল ও গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নে চারটি করে ঘর মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকল্পের সুবিধাভোগী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা বিধান দাস দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ভারী কাজ করতে পারেন না। এরমধ্যে যতটুকু পারেন কাজ করেন। এ কাজের আয়ে কষ্টে চলে তার সংসার। আছে বলতে এক চিলতে জমিতে জরাজীর্ণ টিনের ঘর। স্ত্রী, চার কন্যা ও এক ছেলে নিয়ে এ ঘরে কোনোরকম মাথা গুঁজে দিন কাটিয়েছেন। বৃষ্টি হলেই টিনের ছিদ্র দিয়ে ঘরের ভেতরে পানি পড়েছে। হাড়কাঁপানো শীতে ঠাণ্ডা হাওয়ায় কষ্ট করেছেন। সামর্থ্য না থাকায় কখনো ঘর বদলের কল্পনাও করেননি। তবে জরাজীর্ণ ঘরে থাকার দিন এখন অতীত হয়েছে বিধান দাসের। তার নিজের এক চিলতে জমিতে পাকা বাড়ি করে দিয়েছে সরকার। 

আরও পড়ুন:মামলাবাজ সিন্ডিকেটে কারাবন্দি জীবন

তিনি বলেন, ‘জীবনে কল্পনাও করিনি পাকা ঘরে ঘুমাতে পারব। যখন শুনলাম সরকার ঘর তৈরি করে দেবে, সেটা আমার অবাস্তব মনে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমার ঘর হয়েছে। পাকা ঘর পেয়ে খুবই খুশি। আমার কষ্টের জীবন। শীত, বৃষ্টিতে খুবই কষ্ট করতাম। এখন আর কষ্ট হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য প্রার্থনা করি, তিনি যেন সুস্থ থাকেন।’

জায়ফরনগর ইউনিয়নের মিনারা বেগম বলেন, ‘আমার তো আয় রোজগার নাই, দুই মেয়ে নিয়ে জীবনে কোনোদিন পাকা ঘর বানাতে পারবো ভাবিনি। কিন্তু শেখ হাসিনা আমার সেই আশা পূরণ করেছেন। শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করছি।’ 

জুড়ী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক ইত্তেফাককে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনীয় ঘরগুলো টিআর কাবিটার বরাদ্দ থেকে দেওয়া হয়েছে। ঘরের কাজ স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানগণ তাদের দায়িত্বে করেছেন। আমরা সব সময় তদারকি করেছি। এ তালিকায় ৫-৬ জন প্রতিবন্ধীও রয়েছেন। অসহায়, গৃহহীন মানুষেরা ঘর পেয়ে অনেক খুশি।’

ইত্তেফাক/এএএম