শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১ নভেম্বর থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের সকল পর্যটন কেন্দ্র

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ২১:৩৪

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার শর্তে আগামী ১ নভেম্বর থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন বনের সকল পর্যটন স্পট। সুন্দরবন খুলে দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে বন অধিদপ্তর একটি গেজেটও প্রণয়ন করেছেন। গেজেট সম্পন্নের পর মঙ্গলবার বনবিভাগের প্রধান কার্যালয় (ঢাকা) থেকে বনের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বনবিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও মোংলাসহ সকল জায়গায়।

বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমির হোসাইন চৌধুরী মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পর্যটকদের বনে ভ্রমণ করতে হবে। এজন্য বনবিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনাকালে এক সাথে বেশি লোকজন নিয়ে ভ্রমণ করা যাবেনা। মানতে হবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বও। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যটন ব্যবসায়ীদেরকে সতর্কতাবস্থানে থাকতে হবে।

চলতি বছরের ১৯ মার্চ করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণেই সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বেকার হয়ে পড়ে এ শিল্পের সাথে জড়িত পর্যটন ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা সুন্দরবন পর্যটনদের জন্য খুলে দেয়ার দাবীতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচীও পালন করে আসছিল। তারপর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাসেরও অধিক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বনবিভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আগামী ১লা নভেম্বর২০২০ থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের সাথে সাথে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন স্থাপনার উন্নয়ন, সংস্কার ও মেরামতে কাজ শুরুও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারণ বিগত ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বনের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান করমজলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের নৌযানগুলোকে মেরামতসহ নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

করোনাকালে বেশ ক্ষতি হয়েছে বনবিভাগ ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের। বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সকলেরই। এ বিষয়ে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: আজাদ কবির বলেন, বন্ধের ৭ মাসে কম হলেও অন্তত প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হতো এখান থেকে। ঠিক অন্যান্য কেন্দ্রগুলো থেকেও বেশ পরিমাণ রাজস্ব আয় হতো, করোনা দুর্যোগের কারণে সেই ক্ষতিটাতো বনবিভাগের হয়েই গেছে।

ট্যুরিজম ব্যবসাী মোঃ আব্দুল্লাহ নান্টু বলেন, আমাদের তো সবই শেষ। নৌযান অলস পড়ে থেকে সেগুলোতে নানা ধরণের ক্রুটি দেখা দিয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয়েছে কর্মচারীদের। ধার দেনা করে পুঁজি খাটিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিলাম তা এখন যেন মরার উপর খরার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। তারপরও যেহেতু অনুমতি দেয়া হচ্ছে আমরা সকল বিধি নিষেধ মেনেই ট্যুরিজম ব্যবসা পরিচালনা করবো।  

ইত্তেফাক/এসআই