শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গোয়ালন্দের পদ্মা পাড়ে অবাধে পাখি শিকার করে প্রকাশ্যে বিক্রি

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০২:২১

গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন চর, খাল-বিল ও নদীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পাখি শিকার করা হচ্ছে। শিকার করা পাখিগুলো হাট-বাজারে এনে প্রকাশ্যে বিক্রিও করছেন পেশাদার শিকারিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর বিভিন্ন চর জেগে উঠেছে। চরগুলো নানা ধরণের অসংখ্য পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া উপজেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলেও দেখা মিলছে নানা প্রজাতির পাখি। আসন্ন শীতে এদের সাথে যুক্ত হবে অসংখ্য অতিথি পাখি।

এদিকে এ পাখিগুলোকে শিকার করতে এখনই তৎপর হয়ে উঠেছে সৌখিন পাখি শিকারিসহ এক শ্রেণির পেশাদার শিকারি। পাখি শিকার করা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তারা আইনের তোয়াক্কা না করে পাখি শিকার করে চলেছে। পেশাদার শিকারিরা তাদের শিকার করা পাখিগুলোকে আবার বাজারে এনে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। তবে পেশাদার শিকারিরা বেশির ভাগই পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকার বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুনঃ ইতালিতে ২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশির মাথার খুলি উদ্ধার

গোয়ালন্দ বাজারে শিকার করা পাখি বিক্রি করতে আসা পাবনার কাশিনাথপুর উপজেলার মোখছেদ প্রামাণিক জানান, এ সময় নদী ও চর এলাকায় প্রচুর পাখির দেখা পাওয়া যায়। তারা বেশ কয়েকজন মিলে পদ্মা নদীর চর এলাকায় অবস্থান করে পাখি শিকার ও বিক্রি করছেন। বর্তমানে দেশীয় জাতের চ্যাগা, বক ও শালিক জাতীয় পাখি বেশী পাওয়া যাচ্ছে। শীত শুরু হলে বিদেশী জাতীয় পাখি পাওয়া যাবে। পাখি শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ জানেন কিনা জিজ্ঞেস করলে বলেন, “সেটা জানি না, তবে এলাকায় কাজকর্ম নেই তাই পেটের দায়ে পাখি শিকার করি”।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মো: সিরাজুল হক জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পাখি শিকার করার অপরাধে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাখি শিকার বন্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ইত্তেফাক/এমএএম