পাবনায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের অনুষ্ঠানে মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে পাবনার সিভিল সার্জন স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় পাবনায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সকল কর্মসূচি বয়কট করেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। এ ছাড়া পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বৃহস্পতিবার পাবনার সিভিল সার্জন অফিস, পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, পাবনা টিবি ক্লিনিক ও ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সুধিজনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মহাপরিচালক। সভায় সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভা চলাকালে পাবনার সিভিল সার্জন মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে আকষ্মিকভাবে সাংবাদিক এবং ক্যামেরা পারসনদের সভা থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান সভা থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, সিভিল সার্জনের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতায় এই জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাব বা কোভিড টেষ্টের কোন ব্যবস্থা হয়নি। জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো চিকিৎসা নেই। নিজেদের অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের সভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ।
পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটিন সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা বলেন, এ ধরনের অসভ্যতা গোটা সাংবাদিক সমাজের অপমান। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ায় অপমানকর। সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাবনা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সভায় উপস্থিত একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, এ ধরনের অসভ্যতা গোটা সাংবাদিক সমাজের অপমান। রূঢ় ভাষায় সকল স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ায় অপমানকর। এর পর পাবনায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা পাবনায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সকল কর্মসূচি বয়কট করার ঘোষণা এবং পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে প্রত্যাহারের দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এই সিভিল সার্জন মানসিক ভারসাম্যহীন। মহাপরিচালকের সামনে এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এ জন্য লজ্জিত।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল ইত্তেফাককে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সাংবদিকদের সঙ্গে। বৈঠকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কথা ছিল, বৈঠকের পর তাদের সঙ্গে মত বিনিময় হবে। কিন্তু তারা বৈঠকে ঢুকে বৈঠকের পরিবেশ ব্যাঘাত করেছেন। যে কারণে তাদর বাইরে যেতে বলা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেকে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা জানাতে বলেন। ফলে তার মতামত জানা যায়নি।
ইত্তেফাক/এসি