বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের কমিশন বাণিজ্য বন্ধ এবং তার শাস্তির দাবিতে জরুরী বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এছাড়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে জরুরী বিভাগের গেট আটকে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় সভাপতি সজল পান্ডে শেবাচিম হাসপাতালে যে কমিশন বাণিজ্য চলছে তা বন্ধ করার দাবি জানান। এছাড়া মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক থেকে কমিশন নিয়ে থাকেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও মাসুদ খান সিনিয়র চিকিৎসকদের কক্ষে তালা দেয়াসহ জুনিয়র চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ করে থাকেন। যে বিষয়টি লিখিত আকারে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর দিয়েছি। কিন্তু এই বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান ভাবে ইন্টার্নদের হেয় করা হচ্ছে এবং মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকদের মধ্যে হাসপাতালের সামনে থাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেয় কমিশন নিয়ে দ্বন্দ্বে জরুরী বিভাগের গেট আটকে দিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এর আগে কমিশন নিয়ে দ্বন্দ্বে মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার মাসুদ খানকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক মাসুদ খান ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দেন হাসপাতালের পরিচালক বরাবর। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি