বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রিফাত হত্যা মামলা: ৩ ফাঁসির আসামিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৬

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন পুরুষ আসামির মধ্যে তিনজনকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ প্রিজনভ্যান ওই তিন আসামিকে নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শাহে আলম। 

যাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে তারা হলেন- ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় এবং মো. হাসান। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই সহোদর মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী ও মোহাইমিনুল ইসলাম শিফাতের বিরুদ্ধে বরগুনায় অন্য মামলা চলমান থাকায় তাদের বরগুনা জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বৃহস্পতিবার কাশীমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। কারা সূত্র জানায়, বরগুনা জেলা কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের রাখার যথাযথ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এসব কারণে ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে রিফাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন পুরুষ আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণ করা হয়। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা বরগুনা কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্য থেকে বৃহস্পতিবার মিন্নিকে কাশীমপুরে এবং শুক্রবার অপর তিনজনকে বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে মুমূর্ষ আহত করে আসামিরা। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। রিফাতকে কোপানের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচিত হয়। 

ইত্তেফাক/এসি