শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নওগাঁয় পরকীয়ার ছুতোয় নৈশ প্রহরীকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৩

নওগাঁয় পরকীয়া প্রেমের ছুতোয় তোফাজ্জল হোসেন ছকু নামে এক নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নওগাঁ পৌর শহরের হাড়িয়াগাছি গ্রামের এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওইদিন উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেওয়া হলে পরদিন বুধবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নির্যাতনকারী দিলদার হোসেন গং। 

নিহত তোফাজ্জল হোসেন ছকু নওগাঁ পৌর শহরের হাড়িয়াগাছি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি হাড়িয়াগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ছিলেন।  

নিহতের বাবা মোজাম্মেল হক জানান, তোফাজ্জল হোসেন ছুকর সঙ্গে একই গ্রামের দিলদার হোসেনের স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দিলদারসহ তার পরিবারের লোকজনের সন্দেহ করে আসছিলেন। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দিলদার হোসেন ও তার লোকজন ছকুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পেটান। মারধর চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। পরে দিলদার হোসেন ছকুর বিরুদ্ধে চুরির আভিযোগ এনে নওগাঁ সদর থানার পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে ছকুকে তার পরিবারের লোকজনের কাছে চিকিৎসার জন্য হস্তান্তর করে পুলিশ ফিরে আসে থানায়।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে ছকুর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। বুধবার মধ্যে রাতে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: সিলেটে ৫০ হাজার গ্রাহক এখনও বিদুতহীন

তিনি দাবি করে বলেন, ছেলের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ছিল না। অন্য কোনো জেরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত এই হত্যায় জড়িত দিলদার হোসেন, সোহেল রানা, পরাগ, আরিফ ও সেলিনা বেগমদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত আছে। 

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের করে আইনের আওতায় আনা হবে। 

ইত্তেফাক/এসি