শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো শুরু

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০৫

পদ্মা সেতুর ৩৮ তম স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর আজ বসানো হবে ১-এ নামের স্প্যানটি। অন্যান্য খুঁটির চেয়ে ১ নম্বর খুঁটির গঠন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই ১ নম্বর খুঁটিতে ১৬টি পাইল স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে অন্যান্য খুঁটিতে ৬/৭টি পাইল স্থাপন করা হয়েছে। ২ নম্বর খুঁটিতেও ৭টি পাইল স্থাপন করা হয়। ১ নম্বর খুঁটির উপর দিয়েই সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে।

এসব তথ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমারা আশা করছি আগামী বিজয় দিবসের আগেই বাকী সব স্প্যান বসিয়ে দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি জানান, মাওয়া প্রান্তের ‘১-এ’ নামের ৩৮তম স্প্যানটি ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপন করলেই সেতুর মাওয়া প্রান্তের সাথে বন্ধন হয়ে যাবে। ৩৮তম স্প্যানটি বসার পর আর বাকী থাকবে মাত্র তিনটি স্প্যান। এর মধ্যে নবেম্বরে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে। আর ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের আগে অপর দুটি স্প্যান স্থাপন করা হবে।

তিনি আরও জানান আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মাওয়া কুমারভোগের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’নামের ভাসমান জাহাজটি ‘১-এ’নামেরস্প্যানটি নিয়ে নির্দিষ্ট খুঁটির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। কাদের বলেন, ৩৮তম স্প্যানের একটা খুঁটি মাওয়া প্রান্তে মাটির ওপর। মাটিতে খুঁটি থাকার কারণে স্প্যান নিয়ে ক্রেন আসার জন্য নদীর পাড়ে ৯০ মিটার বাই ৩শ’ মিটার এলাকা ড্রেজিং করা হয়েছে। যাতে স্প্যানটি নিয়ে সহজেই জাহাজটি খুঁটির কাছে আসতে পারে।

তবে এ্যাংকরিং করতে কিছুটা সময় লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, মাটিতে এ্যাংকরিং করা একটু কঠিন। এ্যাংকরিং শেষ হয়ে গেলে ২ ঘন্টার মত সময় লাগে স্প্যানটি স্থাপনে। এর আগে ৩৭তম স্প্যানটি ১২ নবেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে সেতুর এখন দৃশ্যমান হয়েছে ৫৫৫০ মিটারে। আর ৩৮তম স্প্যানটি স্থাপন করা হলে সেতুর দৃশ্যমান হবে ৫৭০০ মিটার। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুর বাকী থাকবে আর মাত্র আধা কিলোমিটারেরও কম।

তিনি বলেন, সেতুর ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। বসে যাওয়া ৩৭টি স্প্যানের মধ্যে জাজিরা প্রান্তের ২০টি ও মাওয়া প্রান্তে ১৬টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এছাড়া ১টি স্প্যান বসেছে মাওয়া ও জাজিরার মাঝামাঝি। অপর ৪টি স্প্যান মাওয়া প্রান্তে বসার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া সেতুর অন্যান্য কার্যক্রমও চলছে দ্রুত গতিতে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২১১টি রোডওয়ে স্লাব ও ১ হাজার ৮শ’ রেলওয়ে স্লাব বসানো হয়ে গেছে। সংযোগ সেতু ও নদী শাসনের কাজও দ্রুত এগুচ্ছে। মূল সেতুর অগ্রগতি ৯০ শতাংশ আর সার্বিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া পদ্মা সেতু ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে। বাসস।

ইত্তেফাক/বিএএফ