দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে এখন চলছে রাজস্ব ফাঁকির মহাউৎসব। গত ১৫ দিনে রাজস্ব ফাকির অভিযোগে ৫ কোটি টাকার পণ্য বাজেয়াপ্তসহ ৭টি সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবুও থামানো যাচ্ছে না রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা। মাঝে মধ্যে দু-একটি চালান আটক হলেও অধিকাংশই থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
রাজস্ব ফাকির ঘটনায় ৭টি সিএন্ডএফ লাইসেন্স বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত লাইসেন্স গুলোর মধ্যে রয়েছে রিমু এন্টারপ্রাইজ,তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, সানি ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মুক্তি এন্টারপ্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টারপ্রাইজ।
আরো পড়ুন: জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিল ১৬৩ দেশ
তাছাড়া চকলেটের চালানে উন্নত মানের শাড়ী, ব্লিচিং পাউডারের চালানে কফি ও ওষুধ মেশিনারিজ পার্টস এর ভেতরে প্যাডলক ও রেক্সিন, আমদানিকৃত ঘোষনাতিরিক্ত ১৯ টন মাছ আটক করা হয়। জরিমানা বাবদ এসব চালান থেকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেছে। জব্দকৃত পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বড় ধরনের রাজস্ব ফাকির ঘটনা ঘটায় সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট বেনাপোলের রিয়াংকা ইন্টারন্যাশনাল। এতে ঘোষণার অতিরিক্ত ৩৬০ কেজি কফি ও ১৯২৭ কেজি ওষুধ জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। এই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মূল মালিক হচ্ছেন রতন কৃষ্ণ হালদার।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করার অভিযোগে ৭টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এমএএম