পটুয়াখালীর বাউফলে পানি উন্নয়ণবোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন সময় নির্মিত স্লুইচ গেটগুলো অধিকাংশই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। তারা স্লুইচ গেট বন্ধ করে খালে মাছ চাষ করে। ফলে স্লুইচ গেট কৃষকের কোন কাজে আসছেনা।
জানা গেছে, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভিন্ন সময় ক’ষকের আবাদি জমি চাষাবাদের সুবিধার্থে বাউফল উপজেলায় অর্ধ শতাধিক স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে স্লুইচ গেট গুলো বেশির ভাগই মাছ চাষিদের দখলে চলে গেছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দেখ ভাল করার লোকও নেই
নওমালা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে স্লুইচ গেটের কপাট বন্ধ। খালের দক্ষিণ পাশের অংশে কচুরিপানা পরিষ্কার করে স্থানীয় জেলে পাড়ার (বেপারী বাড়ি) কিছু লোকজন মাছ চাষ করছেন। খালের উত্তর পাশের অংশ কচুরিপানায় ভরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, স্লুইচ গেটেরে কপাট বন্ধ করে মাছ চাষ করার কারণে বর্ষা মৌসুমে ক্ষেতে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়। চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। কৃষকরা সুফল পাচ্ছে না ।
আরো পড়ুনঃ দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত কমেছে
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মরিুজ্জামান বলেন ,বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়েছি কৃষকরা মাছ চাষি দের কারনে স্লুইচ গেট ব্যবহার করতে পারছে না ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন,‘একসময় স্লুইচ গেটগুলো তদারকির জন্য স্লুইচ খালাসী’ ছিল। তাদের কাছে স্লুইচ গেটের চাবি থাকতো। তারা প্রয়োজন অনুযায়ি স্লুইচ গেটের কপাট খুলতো এবং আটকাতো। ১৯৯৮ সালে খালাসীদের বাদ দেয়ায় স্থানীয়রা তাদেরমত স্লুইচ গেট ব্যবহার করছে। প্রভাবশালীদের মধ্যে কেউ কেউ কপাট আটকে মাছ চাষ করছে। যে সব স্লুইচ গেট নিয়ে অভিযোগ আসছে সেগুলোতে আমরা তদারকির জন্য স্থানীয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের মাধ্যমে স্লুইচ গেট পরিচালিত হবে।’
ইত্তেফাক/এমএএম