শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসল উৎপাদন ৫০ ভাগ বৃদ্ধি সম্ভব’

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৪৩

‘পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ বিষয়ক দিন ব্যাপী এক কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ অতিরিক্ত পরিচালক কার্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তারা, কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এসময়,পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন অন্তত: ৪০-৫০ ভাগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সরকার কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তনে দিনরাত কাজ করছে। এর ফলে কৃষিতে আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। 

সিলেট বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মজুমদার মো: ইলিয়াসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ দিলীপকুমার অধিকারী বলেন, প্রযুক্তি এখন সারাবিশ্বে। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মামুনুলের হকের আগমন ঠেকানোর ঘোষণা চবি ছাত্রলীগের, সড়ক অবরোধ  

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সালাহ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (বগুড়া) আবদুল্লাহ আল মামুন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: আসাদুল্লাহ, শাবি‘র অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল , বিএডিসি (সার) এর উপ-পরিচালক সুপ্রিয় পাল প্রমুখ। 

ড. নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সিলেটে মাটি অম্ল মিশ্রিত। তাই এখানে লেবু জাতীয় ফলন বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রচুর। তিনি বলেন, এখানকার ভূমির টপগ্রাফি বৈচিত্র্যপূর্ণ। তাই উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। 

সভাপতির বক্তব্যে মজুমদার মো: ইলিয়াস বলেন, জৈন্তা-খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সিলেটে বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর থাকে। আর হেমন্তে জমি শুকিয়ে যায়। এই কারণে অনেক জমিতে ফলন দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই যথা নিয়মে প্রযুক্তি ব্যবহার করলে অনেক জমি চাষের আওতায় আসবে।

ইত্তেফাক/এমএএম