ঈশ্বরদীতে অবস্থিত পাবনা সুগার মিল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ ও মিল গেটের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে দ্বিতীয় দিনে আবারও বিক্ষোভ করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা। বুধবার (২ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছয়টি সুগার মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা সুগার মিলের সামনে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী বিক্ষোভে রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সড়ক অবরোধকারীরা রাস্তায় শুয়ে ও বসে মিল বন্ধের প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। পরে র্যাব ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানালে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে এসে মিল গেটের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহীদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া মৌজায় ৬০ একর জমির ওপর পাকিস্তান সরকারের আর্থিক ঋণে ‘পাবনা সুগার মিল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে আখ মাড়াই মৌসুমে মিলটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে মিলটি চিনি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে। চালুর পর থেকেই মিলটি উৎপাদন ঘাটতি ও লোকসানের কবলে পড়ে। আখের স্বল্পতা, আখ হতে চিনি আহরণের হার কম থাকা, মাথাভারী প্রশাসন, সুদসহ ঋণের কিস্তি পরিশোধ, উৎপাদিত চিনি অবিক্রীত থাকাসহ নানাবিধ সংকটে পাবনা চিনিকলের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকারও বেশি।
ইত্তেফাক/এসি