শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৪৯

মানিকগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ও বিকেলে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ সড়ক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মূলকান্দি এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনায় সাতজন নিহত হন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হাসমত উল্লাহ জানান,  নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী এবং একজন শিশু রয়েছে।

নিহতরা হলেন- একই পরিবারের হরেকৃষ্ণ বাদ্যকার (৫৫), তার ছেলে গোবিন্দ বাদ্যকার (২৮), গোবিন্দর স্ত্রী ববিতা বাদ্যকার (২৫), মেয়ে রাধে বাদ্যকার (৪), কাকি খুশি বাদ্যকার (৫২) ও কাকাতো ভাই রাম প্রসাদ বাদ্যকার (৩০)। এছাড়া সিএনজি চালক জামাল শেখ (৩০)। নিহতদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চাষা ভাদ্রা গ্রামে।

ওসি হাসমত উল্লাহ বলেন, বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ছয় এবং হাসপাতালে একজন মারা যান।নিহতদের মধ্যে ছয়জন একই পরিবারের। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চাষাবাদড়া বাদ্যকর এলাকায়। নিহত অন্যজন অটোরিকশাচালক। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসে ট্রাকের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার কুরনি এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রংপুর জেলার হরিরামপুর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে শওকত হোসেন (১২), নুলু খানের মেয়ে নুর নাহার (১৬), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বল্লাগান্ধি গ্রামের পারভেজ মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩২), জয়নাল মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫), ইসহাক আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান মিয়া (৫০) এবং রতন মিয়ার ছেলে চুন্নু মিয়া (৩২)। 

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ডে ছবি এঁকে লাখ টাকার চেক প্রতিবন্ধী ফাইজার হাতে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, রংপুর থেকে ঢাকাগামী সেবা ক্লাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের কুরনী নামক স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ঢাকা গামী অপর একটি মালবাহী ট্রাক বাসটিকে ধাক্কা দিলে বাসের ভিতরে থাকা চারজন যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। গুরুতর অবস্থায় সাতজনকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজুল ও আশরাফুল মারা যান। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসের চালক পলাতক। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাইওয়ে থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

ইত্তেফাক/এসি