শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন শ্রমিক লীগ নেতা হযরত আলী

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৫৫

জামালপুরের মেলান্দহের পশ্চিম জালালপুর গ্রামের সিএনজি ড্রাইভার ও শ্রমিক লীগ নেতা হযরত আলী (৬৫) সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। শয্যাশায়ী এই হতদরিদ্র ড্রাইভারের একদিকে অনাহারে অপরদিকে বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন। সরেজমিনে হযরত আলীর বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

হযরত আলী বলেন-ডাক্তার জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই টাকা আমার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে পরিবার চালানোর জন্য উপার্জনক্ষম কোন লোকও নাই। মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে সবুজা আক্তারের মাসে টিউশনির ৫/৭ টাকা পেতেন। করোনার কারণে সেটাও বন্ধ। উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলে বাদশা মারা যাবার পর আমিই ছিলাম সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী।

জানা গেছে,  গতবছরের ১৮ডিসেম্বর রাতে হযরত আলী জামালপুর থেকে সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বুরুঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে বিশ্বরোডে একটি পিকআপ ভ্যান গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। একই সাথে ড্রাইভার হযরত আলীর হাত-পা-কোমর থেঁতলে যায়। এতেই সেশনয়, মাথা এবং চোখেরও ক্ষতি হয়। মুমূর্ষুবস্থায় জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। কিন্তু হযরত আলীকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা নেবার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নাই।

হযরত আলীর মেয়ে সবুজা আক্তার জানান, আমার বাবা মেলান্দহ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি। আমার বাবার দেয়া শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদার টাকারও হদিস নেই।

পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। হযরত আলীর জীবন বাঁচাতে সরকার বা সমাজের বিত্তশালী-দানবীরদের নিকট সহায়তা কামনা করেছেন।

ইত্তেফাক/এমআর