আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ: ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

থমথমে অবস্থার মধ্যে দিয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীকে প্রধান আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঘা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি বাদী হয়ে বাঘা থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
তার মতে, বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র মুক্তার আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় আড়ানীর সাহাপুর এলাকার সাহাবাজ আলীর ছেলে মিলনকে (৩০) আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এবং জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের উপস্থিতিতে আড়ানী পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি সব প্রার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সুপার যেকোনো মূল্যে আড়ানী পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, নির্বাচনী কার্যালয়সহ দোকানপাট ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থী পরস্পরকে দোষ রোপ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে ৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ভাঙচুর করা দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।
ইত্তেফাক/কেকে