বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীতে ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনার জেরে জেলার সব বাস স্ট্যান্ড অচল করে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সোহাগকে অপহরণ, মারধরসহ পুলিশে সোপর্দকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের দাবিতে মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর দু’ প্রবেশদ্বারের টার্মিনালগুলো অবরোধ করলে বরিশাল থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা-ঝালকাঠী-বরগুনা-ভোলা-পিরোজপুর ও পটুয়াখালীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করায় পুলিশ প্রশাসন কিংবা মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়ে। এতে করে সড়কের দু’পাশের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানবাহনের লাইন পড়ে যায়।
কাউনিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সোহাগ নামে এক যুবককে গতকাল বুধবার দুপুরে বিসিক শিল্প এলাকায় ফরচুন সু কারখানার মধ্যে আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় ক্ষমতাসীন দলের একদল নেতাকর্মী থানায় অবস্থান নিয়ে সোহাগের মুক্তি দাবী এবং শিল্প মালিক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবী জানায়। পুলিশ এতে রাজী না হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং রূপাতলী বাস টার্মিনাল অবরোধ করে সড়ক যোগাযোগ অচল করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
সোহাগ পুলিশের কাছে দাবী করেছে, সে ফরচুন সু প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে আটকে রেখে মারধর করে মিথ্যা অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তবে ফরচুন সু মালিক মো. মিজানুর রহমান জানান, তার কারখানার এক নারী শ্রমিককে বিসিক এলাকার মধ্যে উত্যক্ত করে সোহাগ। তিনি গাড়িতে কারখানার দিকে যাওয়ার সময় এ ঘটনা দেখে সোহাগকে আটক করে কাউনিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. ফজলুল করিম ইত্তেফাককে জানান, সোহাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমান, শফিউল সফিক, রবিউল সহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত করে এজাহার দাখিল হলে পুলিশ তা মামলা হিসেবে গ্রহন করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এনএ