পুলিশ সার্জেন্টের ওপর হামলাকারী নাটোরে গ্রেফতার

রাজশাহীতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্যর ওপর হামলাকারী বেলাল হোসেনকে নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১টার সময় নাটোর হরিশপুর বাইপাস এলাকা থেকে তাকে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদি আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট বিপুল ভট্টাচার্য নিজেই। একমাত্র আসামি হামলাকারী বেলাল হোসেন (২৬) নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার শামসুল হকের ছেলে। বেলাল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সার্জেন্ট বিপুল এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই তিনি মামলার এজাহারে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছেন রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম: দুদকের হাতে গ্রেফতার তহসিলদার
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, হামলার ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী দুইজনকে ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মামলার সাক্ষী করা হয়েছে। তারা পুলিশকে সহায়তা করছেন। পরে বৃহস্পতিবার নাটোর থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে সার্জেন্ট বিপুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তার দুই হাতে জখম হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। হেলমেট না পরা এবং মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকার কারণে মামলা দিতে শুরু করলে আচমকা চেলাকাঠ নিয়ে এসে তার ওপর হামলা করেন বেলাল হোসেন।
আরও পড়ুন: চুরি-ডাকাতি রোধে ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩৪
এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রামেক হাসপাতালে সার্জেন্ট বিপুলকে দেখতে গিয়ে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, বেলালের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিলো না। সেটি জব্দ করা হয়েছে। বেলাল সার্জেন্ট বিপুলকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এ নিয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে, গ্রেফতারের পর আসামি বেলাল হোসেনকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন তাকে আদালতে আনা হয়, তখন সে ঠিকমত দাঁড়াতেই পারছিল না।
ইত্তেফাক/এমএএম