শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পান চাষিদের সুদিন ফিরেছে

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩১

সাতক্ষীরার তালায় সুদিন ফিরছে পান চাষিদের। গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হওয়ায় পান চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পারেনি। তবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পানের চাষ বেড়ে গেছে। উৎপাদন খরচ একটু বেশি হলেও পানের দাম ভালো পাওয়ায় পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালা উপজেলার প্রায় সব কটি ইউনিয়নে পান চাষ হয়। এরমধ্যে কুমিরা, মাগুরা, ইসলামকাটি, ধানদিয়া, খলিষখালী, তালা সদর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয়।

স্থানীয় চাষিরা জানান, পান গাছ লাগানোর ৬ মাস পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। আর একবার লাগানো পান গাছ থেকে প্রায় ২০/২৫ বছর পান পাতা সংগ্রহ করা যায়। ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পানের ফলন ভালো হয়েছে। একই সাথে দাম ভাল থাকায় পান চাষিরা বেজায় খুশি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তালায় ৪২৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। সরকারি সহায়তা ও স্বল্পসুদে ঋণ পেলে আগামীতে এ উপজেলায় পানের চাষ আরও বাড়বে।

উপজেলার রাঢ়িপাড়া গ্রামের তবিবর রহমান সরদার, খলিষখালীর অজয় দত্ত, গোপালপুরের মৃত্যুঞ্জয়, দোহারের আব্দুস সালাম, মাগুরা দীপক, অশোক কুমারসহ কয়েকজন পানচাষি  জানান, এক বিঘা পান চাষ করতে প্রায় এক লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়। একবার খরচ করলে বরজ থেকে ২০-২৫ বছর পান সংগ্রহ করা যায়। প্রতি বছর ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকার পান বিক্রি করা যায়। এবছর পানের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। একপন পান ২০০ থেকে ২২৫ দরে বিক্রি করেছেন তারা। স্বল্পসুদে ঋণ পেলে পান চাষ আরও বাড়ানো যেত বলেও জানান তারা।

আরও পড়ুন: অর্থকরী ফসল পান

চাষিরা আরও জানান, উৎপাদিত পান ঢাকা, খুলনাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। পান চাষ বেশ লাভজনক কিন্তু গত বছর আম্ফানের কারণে পানের বরজ লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় চাষিরা বেশ লোকসানে আছে। বর্তমানে পানের দাম পাওয়ায় তারা বেশ খুশি।

তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশ বলেন, নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে পান চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এ বছর পানচাষিরা ভাল ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পাচ্ছেন। আগামীতে কৃষকরা পানচাষে আরও আগ্রহী হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইত্তেফাক/এমআর