শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেলুন ফোলানোর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শিশুর মৃত্যু

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:১৮

বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন। দুই পা হারিয়েছেন বেলুন বিক্রেতাও।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- আহমদ খান এহসান (১২), সে স্থানীয় দক্ষিণ মিয়াজির পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। আরেকজন হলো ইউনিয়নের বলিরপাড়ার আজিজুল রহমানের ছেলে এরশাদুল রহমান (১০)। 

আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১ 

এদিকে আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। তারা হলো- মাতারবাড়ির পাশের শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার কবির আহমদের ছেলে নুরী (১৬), একই ইউনিয়নের সাইটমারা এলাকার নুরুল হকের ছেলে আক্কাস (১৮), মাতারবাড়ির উত্তর রাজঘাট এলাকার কাইছারুল ইসলামের ছেলে জিহাদুল ইসলাম আবদুল্লাহ (১২), নলবিলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মারুফ (১২), সিকদার পাড়ার  ফরিদুল আলমের ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাহাত (১৩), মগডেইলের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. নুরী (১৩) সিকদারপাড়ার আবদুল মোনাফের ছেলে মো. তুহিন (১৪) ও বদন আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (১২)'র নাম পাওয়া গেছে। 

বিস্ফোরিত হয়ে পড়ে রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। ছবি: ইত্তেফাক

আহত সবাইকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনেক শিশুর পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আজিজিয়া মাদ্রাসার সভার প্রথম দিন ছিলো শুক্রবার। মাহফিল উপলক্ষে স্কুলের মাঠে সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের বেলুন ফুলিয়ে শিশুদের কাছে বিক্রি করছিল এক বেলুন বিক্রেতা। হঠাৎ বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুসহ নানা শ্রেণির-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিলো। বিস্ফোরণে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে আহতদের মাঝে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ২ শিশুর মৃত্যু হয়। বাকী আহতদের মাঝে আরও কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনরা। 

চেয়ারম্যান আরও জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশে হতাহত সকল পরিবারে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দাফন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো ঘটনাস্থলে একটি মাথা, দুটি পা ও একটি বিচ্ছিন্ন হাত পড়ে রয়েছে। তবে এগুলো কার তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আমার এলাকার দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। ধারণা করছি ক্ষত-বিক্ষত অংশগুলো বেলুন বিক্রেতার শিশু সন্তানের। কিন্তু বেলুন বিক্রেতার পরিচয় জানা যায়নি। 

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ