শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘এমন শোয়ার ঘর পাইয়াম জীবনেও বাবতেছিলাম না’

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২৮

প্রতিদিন মানুষ সহযোগিতা করলে জুটে বৃদ্ধ সিরাজ আলী (৮২) ও  তার স্ত্রী হাজেরার খাবার। উপোস থাকতে রাজি তবে ভিক্ষা করেন না। থাকেন উপজেলার উচিতপুর গ্রামের আরেক হাজেরার আশ্রয়ে। নিজের ঘর বা জমি বলতে কিছুই নেই।

এই হতদরিদ্র সিরাজ আলী মদন গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আধাপাকা একটি ঘর পাচ্ছেন। সঙ্গে পাচ্ছেন একখণ্ড জমিও। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গৃহীত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান কার্যক্রমের আওতায় তারা এই বাড়ি পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে ঘর পাচ্ছে ৯ লাখ পরিবার

জানতে চাইলে বৃদ্ধ সিরাজ আলী বলেন, ‘সব যেন স্বপ্নের মত লাগতেছে, এমন একটি শোয়ার ঘর পাইয়াম জীবনেও বাবতেছিলাম না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে সিরাজ আলী বলেন, ‘উনিতো গরীবের সব কিছু বুঝেন এই লাইগা আমরা উনার জন্য যতদিন বাছি দোয়া করব।’ 

শুধু সিরাজ আলী নন, তার মতো এমন ঘর ও জমি পাচ্ছেন উপজেলায় মোট ৫৬ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র মানুষ। প্রত্যেকের নামে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই শতক করে খাস জমি। আর তাতে ঘর নির্মাণ বাবদ ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার করে টাকা। যার পুরোটাই বহন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

নির্মিত ১৯ দশমিক ৬ ফুট বাই ২২ ফুটের দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না ঘর, সংযুক্ত পায়খানা- গোসলখানা ও সামনে বারান্দাসহ রঙিন টিনের ছাউনি দ্বারা এসব ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঢাকার ১০৫০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি উপহার

প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৯৫ লাখ ৭৬  হাজার টাকা ব্যয়ে এসব ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। উপজেলার ৭  ইউনিয়নে ৫৬টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া এসব পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ এবং পানি সরবরাহে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) ব্যবস্থাপনায় প্রতি ১০টি পরিবারের জন্য একটি করে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হচ্ছে। ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর উদ্বোধন করবেন। 

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৫৬টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব গৃহের হস্তান্তর সনদ ও তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ