নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামের এক নারীকে (২৯) গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা ও পরিকল্পনকারী আসামি রব হোসেন মান্না, মো. সেলিম ও হারুন অর রশিদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে জেলার ২নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবির পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, গত রবিবার এই তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার ওই ভুক্তভোগী নারী কবির হাট থানায় এসে তাকে ৪ ব্যক্তি গণ ধর্ষণের অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন। এর একঘণ্টার মধ্যে ঐ নারী কর্তৃক অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি জবানবন্দী প্রদান করেন। তাকে আদালতে নেওয়ার আগে অপর তিন আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকালে মুদি দোকানি জাকির হোসেন জবানবন্দিতে বলেছেন, মান্নার সঙ্গে তার সৎ ভাইয়ের জায়গা-জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার রাতে মান্না আমাকে (জাকির) জোরপূর্বক হুমকি-ধমকি দিয়ে ওই নারীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে জামাল নামের একজন সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দিলে মান্নাসহ আরও দুইজন ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা উত্তর ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের ভোট ২৮ ফেব্রুয়ারি
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে সিঁধ কেটে চার ব্যক্তি ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ঘরে থাকা তার মা ও শিশুসন্তানদের জিম্মি করে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। ওই নারীর স্বামী গত মাসের শেষ সপ্তাহে একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় জেলহাজতে থাকার সুযোগে নিয়ে তার সৎ ভাই মান্না এ ঘটনা ঘটায়।
ইত্তেফাক/এমআই