বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বৃদ্ধকে বিয়ে না করায় বাড়ি ছাড়তে হলো নাজমাকে!

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:০৪

পরিবারের পছন্দের পাত্র এক বৃদ্ধকে বিয়ে না করায় বাড়ি ছাড়তে হয়েছে নাজমাকে। চরবিশ্বাস স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল নাজমা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের প্রধান রাস্তার পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় দুই সাংবাদিক খবর পেয়ে নাজমাকে উদ্ধার করে দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে নাজমা। ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ার কিছু দিন পর মা কুলছুম বেগম অন্যত্র বিয়ে করে নাজমাকে তার মামার বাড়ি রেখে চলে যান। নাজমার বয়স বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মামা-মামি তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। একই ইউনিয়নে চরবিশ্বাস গ্রামে বাবার বয়সী এক বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়।

অভিযোগ, ঐ বৃদ্ধকে বিয়ে করতে রাজি না হলে মারধর করে নাজমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় মামা-মামি। পরে নাজমার চাচাতো মামা রফিক ঢাকার উদ্দেশ্যে চরবিশ্বাস থেকে লঞ্চে উঠিয়ে দেয় নাজমাকে। নাজমা মাঝ পথে উলানিয়া ঘাটে নেমে যায়। উলানিয়া থেকে হাটতে হাটতে নাজমা দশমিনা উপজেলার চরহোসনাবাদ গ্রামে অচেতন হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মী নিপুন চন্দ্র ও সাফায়েত হোসেন নাজমাকে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ খবর পেয়ে দশমিনা থানা পুলিশ হাসপাতালে এসে মেয়েটির পরিচয় যেনে আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয়।

দশমিনা থানার ওসি জসিম জানান, ‘মেয়েটি দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে, স্বজনদের ঠিকানা সংগ্রহ করে খবর দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি যেহেতু গলাচিপা থানার তাই গলাচিপা থানাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব’।

চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মুন্সি ইত্তেফাককে জানান, ‘ঐ মেয়েটির (নাজমার) বিয়ে দেওয়ার খবর আমি জেনেছি, ঘটনা সত্য। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে আমি চিনি, লোকটি একটু হাবাগোবা ও বয়স বেশি’। ‘নাজমার মামাকে আমি বলে দিয়েছি তাকে যেন আজকের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

ইত্তেফাক/এমআর