বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইশরশি জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের দাবি

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২১, ১৯:২৩

ফরিদপুরের সদরপুরে অবস্থিত বাইশরশি জমিদার বাড়ি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধিনে নিয়ে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাইশরশি জমিদার বড়িটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ফরিদপুরের তরুণ সমাজ। 

মঙ্গলবার (২-মার্চ) এ দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয় সদরপুর ও ফরিদপুরে। ৩৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ‘বাইশরশি জমিদার বাড়ি রক্ষা ও সংরক্ষণ আন্দোলন’-এর অংশ হিসেবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে সদরপুরে পুখরিয়া-সদরপুর সড়কের বাইশরশিতে জমিদার বাড়ির সামনের সড়কে প্রথমে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। 

বাইশরশি জমিদার বাড়ির সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে এ আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ  সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বাইশরশি জমিদার বাড়ী শুধু সদরপুরের নয় সারা দেশের একটি ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য রক্ষা করতে যা যা প্রয়োজন তা আমরা করব।  আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ এলাকার সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে অনুরোধ জানাই আমাদের প্রাণের দাবির প্রতিসম্মান দেখিয়ে এ জমিদার বাড়ী রক্ষা করাসহ এ এলাকায় একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।

কর্মসূচি বক্তব্য দেন ভাঙ্গা কে এম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোশায়েদ হোসেন ঢালী, বাইশরশি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এনামুল হক ফকির, কাশিয়ানীর ইয়ার আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, ভাঙ্গা সিপিবির সদস্য প্রভাষ মালো, সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সাবেক ব্যাক্তিগত সহকারি তৌহিদুর রহমান, কৃষক গোলাম হুসাইন প্রমুখ।

ষোল দশকের শেষের দিকে ভারত থেকে ব্যবসা করতে ফরিদপুরের সদরপুরে আসেন বাবু সুকুমার সাহা। ১৭ শতকের শুরুর দিকে ব্যবসা-বানিজ্যের কারনে এখানে গড়ে তোলেন তার বিশাল জমিদারী। বাড়িটি প্রায় ৫০ একর জায়গাজুড়ে জমিদারদের বসবাসের জন্য ১৪টি অট্টালিকা তৈরি করা হয়। ৫টি সানবাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গাছগাছালি দিয়ে সুন্দর বাগানবাড়ি তৈরি করা হয়।

বর্তমানে জমিদার বাড়ি একাংশ এখনো বাংলাদেশ সরকারের ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।


ইত্তেফাক/এনএ