বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অনিবন্ধিত অটোরিকশায় লাইসেন্সবিহীন চালক

আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২১, ১১:২৮

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে নিবন্ধনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বেড়েই চলেছে। বেশির ভাগ অটোরিকশার নিবন্ধন ও চালকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।

অন্যদিকে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ছোট-খাটো দুর্ঘটনা এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, গোলড়া, নয়াডিঙ্গী, দড়গ্রাম, গোপালপুর ও বরাইদ সাভার এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর পাকুটিয়ায় চলাচল করে অন্তত ৬৫০টি সিএনজি অটোরিকশা। যার মধ্যে বেশির ভাগই রেজিস্ট্রেশন ও নম্বর প্লেটবিহীন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব নিবন্ধন ও নম্বর প্লেটবিহীন অটোরিকশাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সম্প্রতি সাটুরিয়া-গোলড়া সড়কের শিমুলতলী নামক স্থানে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে রেশমি আক্তার (৮) নামে এক শিশু নিহত ও মো. আকাশ মিয়া (১৪) নামে আরেক জন আহত হয়। তাছাড়া কয়েক দিন আগে জান্না নামক স্থানে একটি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় এক পথচারী নিহত হয়েছে। কান্দাপাড়া মজিবর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের গেটে আরেক দুর্ঘটনায় ফুকুরহাটি গ্রামের মো. সাগর আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হলে মাত্র ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়। একই দিন রাতের বেলা মজিবর রহমান নামে এক বৃদ্ধকে একটি অটোরিকশা চাপা দিয়ে পালিয়ে য়ায়। সাটুরিয়া থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম ঐ রাস্তা দিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে সাটুরিয়া থানায় আসছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধ পড়ে আছে দেখে তিনি তাত্ক্ষণিক নিজে সরকারি গাড়িতে করে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে একাধিক চালক বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে আর আগের মতো আয় করা যায় না। নিবন্ধন করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাই তারা নিবন্ধন করেননি। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় বলে জানান তারা। অন্যদিকে প্রতিদিন অটোরিকশাপ্রতি ৩০ টাকা করে ও মাসিক ১২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি রাতে ডিউটি করার জন্য থানায় ছয়টি সিএনজি অটোরিকশা দিতে হয়। এ ব্যাপারে ওসি মো. আশরাফুল আলম জানান, অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান ও চেকপোস্ট পরিচালনা করে চালকদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ইত্তেফাক/কেকে