শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের খুঁজে বের করা হবে: মাহবুব উল আলম হানিফ  

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৮:২০

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, লকডাউনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে সালথা উপজেলায় যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও জ্বালাও-পুড়াও করেছেন তাদের প্রত্যেককে খুঁজে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। একজনও রেহাই পাবেন না। 

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সালথা উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনে এসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে প্রশাসনকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। যারা এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত এবং যারা ইন্ধন দিয়ে পিছনে থেকে কলকাঠি নেড়েছেন, তারা যে দলেরই নেতা হোক বা যত বড় হুজুরই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আইনের সৃষ্টিতে সন্ত্রাসী, নাশকতা সৃষ্টিকারী, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের শক্তির কাছে কোনও শক্তি ঘাটে না।    

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা এই সালথায় অমানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে তারা কারা, তারা হলো দেশ বিরোধী, তারা এদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী না, তারা দুষ্টচক্র। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা উপজেলা পরিষদের ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন করেন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণি। এ সময় তার গাড়ি থেকে নেমে কয়েক ব্যক্তি বাজারে উপস্থিত কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা পুলিশের গুলিতে কয়েক জনের মৃত্যু ও স্থানীয় হেফাজত নেতা মাওলানা আকরাম আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন গুজব ছড়িয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও থানায় এই তাণ্ডব চালায়। এ সময় ইউএনও-এসিল্যান্ডের দুটি সরকারি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জুবায়ের হোসেন (২০) ও মিরান মোল্লা (৩৫)  নামে দুই যুবক নিহত হয়।

ইত্তেফাক/এএইচপি