শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লালমনিরহাটে দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাlল্টা ধাওয়া

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১০:২০

লালমনিরহাটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এর ফলে শহরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন ও সাবেক সহসভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে গ্রেফতারের দাবিতে একটি মিছিল বের করে শহরের বাটামোড়ে পৌঁছায়।

অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বাটামোড়ে পৌঁছালে দুই মিছিল মুখোমুখি হয়। এরপরেই শুরু হয় ধাওয়া, পালটা ধাওয়া। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। আতঙ্ক শুরু হয় শহর জুড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের আলোরুপা মোড়ে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের বাড়িতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হামলা করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপের ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল। হামলায় ছাত্রলীগ নেতা সবুজের মা আহত হন। এ ঘটনায় রাতে আহত ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ঐ অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগ গ্রুপ জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন জানান, আমরা কাউকে ধাওয়া দেইনি। রাজনীতির প্রতিহিংসার কারণেই তাদের এই ভিত্তিহীন অভিযোগ।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ধাওয়া দেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া, পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি