কেরানীগঞ্জের মান্দাইল, বরিশুর, ভাগনা, খোলামুড়া ও আমিরাবাগ এলাকায় বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানকে টার্গেট করে ময়দা, সুজি, চিনি, কৃত্রিম ফ্লেভার ও বিভিন্ন রং মিশিয়ে তৈরি করছে ট্যাং, সেমাই ও গ্লুকোজ।
জিঞ্জিরার এ ভেজাল খাদ্যসামগ্রী প্রতিদিন স্থানীয় প্রশাসনের সামনে দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারদের কাছে বিক্রির জন্য রাজধানীর চকবাজার ও মৌলভীবাজার এলাকার দোকানগুলোতে বিক্রি করে আসছে। রং ও বাহারি ডিজাইনের বিদেশি কোম্পানির মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটি আসল আর কোনিট নকল। চকবাজারের পাইকারি দোকানিরা জিঞ্জিরার তৈরি এসব ভেজাল ও নকল খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করে দুই থেকে তিন গুণ মুনাফা করছেন।
বিষেশ করে রমজান উপলক্ষ্যে ভেজাল ও নকল এসব পণ্যের বাজার রমরমা। চিকিত্সকদের মতে, এ ধরনে ভেজাল ট্যাং, সেমাই ও গ্লুকোজ নিয়মিত খেলে ফুসফুস ও পাকস্থলিতে ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাদের পরামর্শ ইফতারে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে লেবুর শরবত খাওয়া উত্তম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ছোট ছোট কারখানা গড়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নকল ট্যাং, গ্লুকোজসহ বিভিন্ন ধরনের জুস ও চকলেট তৈরি করে নামিদামি বিদেশি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারজাত করেছে।
ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি ও বাজারজাত করার বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল হোসেন জানান, তিনি ইতোমধ্যে নকল ও ভেজাল খাদ্য ও প্রসাধন তৈরির সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। রাজধানীর চকবাজার ও মৌলভীবাজার এলাকায় পাইকারি দোকানগুলোতে নিয়মিত প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রাখলে ভেজাল ও নকল সামগ্রী বিক্রি বন্ধ হবে।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি