বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সালিস বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যানের পিটুনিতে বৃদ্ধের মৃত্যু

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ২৩:৪০

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় জমিজমা নিয়ে সালিস বৈঠকে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শহিদুলের পিটুনিতে ইসরাফিল মোল্লা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে থানার গেইটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই জনপ্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইসরাফিল মোল্লা(৭৫) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জোনাব আলী মোল্লার ছেলে। 

স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লায় গ্রামের বজলুর রশিদ ও নজরুল ইসলামের মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ ঘটনায় শামসুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একই গ্রামের বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে থানা চত্বরে সালিস বৈঠকে বসে। সালিস বৈঠক শেষের এক পর্যায়ে থানার সামনে ডেকে নিয়ে বজলুর রশিদের পক্ষের বৃদ্ধ ইসরাফিল মোল্লাকে চড় থাপ্পর ও কিল ঘুষি মেরে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সালিসের এক পর্যায়ে দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাদী নজরুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে আক্রমনাত্মকভাবে ইসরাফিলকে গালি-গালাজ করতে থাকে। পরে তাকে চড়-থাপ্পড় কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধাক্কা মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের নিয়ে সালিস বৈঠকে বসা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে সালিস শেষ হলে তারা থানার বাইরে বেরিয়ে পড়ে। থানার বাইরে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে বজলুর রশিদ পক্ষের লোকজন। এসময় শহিদুল ইসলাম ওই পক্ষের ইসরাফিলকে ধাক্কা ও ঘুষি মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এনএ