শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টঙ্গীতে কাউন্সিলরের পুত্রের হাতে লাঞ্ছিত পুলিশ দম্পতি

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৭:০৬

গাজীপুরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে এসে কাউন্সিলরের পুত্রের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন এক পুলিশ দম্পতি। রবিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত সিফাত (২০) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদের ছেলে। লাঞ্ছিত পুলিশ সদস্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার কর্মরত কনস্টেবল মো. রিপন (৩৪)। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সিফাত আহমেদকে (২০) আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়ে যায়। পরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে থানা থেকে কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন পুলিশ কনস্টেবল রিপন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রতিবেদনের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন ঐ পুলিশ দম্পতি। পাশেই চলছিল কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। সেখানে হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নকর্মীর সঙ্গে জুতা খুলে প্রবেশ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয় পুলিশ দম্পতির। এসময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত কাউন্সিলরের শ্যালিকা সাদিয়া সুলতানার সঙ্গে বিকবিতণ্ডা হয় পুলিশ দম্পতির। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদের স্ত্রী শিউলি বেগম (৪০) ও কাউন্সিলরের পুত্র সিফাত আহমেদ ও শ্যালিকা সাদিয়া সুলতানা ঐ পুলিশ দম্পতিকে লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ বলেন, আমার ছেলে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে আসা পুলিশ দম্পতির সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুিমশ বলেন, পুলিশ সদস্যের লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ইত্তেফাক/এসজেড