শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মোংলা বন্দরের নথিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি কাটাকাটি করলো কে?

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪৪

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সরকারি নথির’ চিঠিতে মুজিববর্ষ সংবলিত বঙ্গবন্ধুর কাভার ছবিতে কলম দিয়ে কাটিকাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা ঘটে। ১২ পৃষ্ঠার এ চিঠির সাতটি পত্রে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। বন্দরের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। 

কমিটি অন্যরা হলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বি. এম. নুর মোহাম্মদ ও ঊর্ধ্বতন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফজলে আলম। 

এদিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটি তা পারেননি। গত ৬ এপ্রিল তদন্ত কমিটির অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি। তবে বিষয়টি জটিল তাই সময় লাগছে বলে দাবী তদন্ত কমিটির। যা নিয়ে তদন্ত সেই বঙ্গবন্ধুর ছবি কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে।


 বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন বলেন, যেহেতু বিষয়টি ক্রিটিকাল তাই এটি তদন্ত করে বের করতে আরও সময় লাগবে। 

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, তদন্ত হচ্ছে। তবে তদন্তে দুঃখজনক এই ঘটনার জন্য যে দায়ী হবেন তার বিরুদ্ধে বন্দর আইনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের কার্গো হ্যান্ডেলিং সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সরবরাহ প্রসঙ্গে ১২ পৃষ্ঠার একটি নথি ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখায় পাঠানো হয়। সরকারি এই ফাইলেরই অফিস কপির সাতটি পৃষ্ঠা জুড়ে মুজিববর্ষের বঙ্গবন্ধুর কাভার ছবিতে ট্রাফিক বিভাগের দপ্তরে কলম দিয়ে কাটাকাটি পাওয়া যায়। 

পরে বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের নথি নম্বর ১৮.১৪.০১৫৮.১৮০.০০.০৫৬.(২).২১ এর উপরের কাভারসহ বেশ কিছু খসড়া পত্রে বঙ্গবন্ধুর লোগোতে কাটাকাটি অবস্থায় পাওয়া যায় মর্মে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর বিধায় উল্লেখ করে দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়।  

এদিকে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার এবং সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজারের দপ্তরের কেউ একজন এই ঘৃণিত কাজটি করে থাকতে পারেন বলে ধারণা তাদের। 
ইত্তেফাক/এমএএম