শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫২

সরকারের কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পার হচ্ছে মানুষ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, চলমান বিধি নিষেধে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা ও তার আশপাশের জেলা থেকে আসা যাত্রীরা পার হচ্ছেন ফেরিতে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সিএনজি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ভোগান্তি ও করোনার ঝুঁকি নিয়েই তারা ছুটছেন গ্রামে।

গোপালগঞ্জের বাসিন্দা কলেজছাত্রী সিমা মণ্ডল (২০) বলেন,  সারাদেশে লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জীবন বাঁচাতেই টাঙ্গাইল থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক কষ্ট করে পাটুরিয়া পর্যন্ত আসতে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ওখান থেকে ফেরিতে পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসলাম। এখান থেকে কিভাবে যাবো সেটাই ভাবছি।

নরসিংদী ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে চাকরিরত ফরিদপুরের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম শেখ (৪০) বলেন, মোটরসাইকেল, সিএনজিতে, মাইক্রোবাসে ৯৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া পর্যন্ত আসছি। অন্য সময় ২৫০ টাকা দিয়ে আসতাম। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এতো টাকা ভাড়া দিয়া যেতে হচ্ছে।

মাগুরা থেকে ঢাকায় যাওয়া যাত্রী মো. আবু সাইদ বলেন, ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কঠোর লকডাউনের আগের দিন বাড়িতে আসছিলাম। ভেবেছিলাম এক সপ্তাহের লকডাউন শেষে ঢাকায় ফিরবো। কিন্তু লকডাউন আবার এক সপ্তাহ বাড়াইছে। তাই করোনার ভয় থাকলেও চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।

 

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ফিরোজ শেখ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের বেধে দেওয়া সর্বাত্মক বিধি-নিষেধে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া রুটে দিনে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু জরুরি রোগী, লাশ বা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত গাড়ি সীমিত পরিসরে বিশেষ ব্যবস্থায় পারাপারের সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য উভয় ঘাটে কয়েকটি ছোট ফেরি রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬টি ফেরি দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরিতে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার পারাপার বন্ধ থাকবে।

 

ইত্তেফাক/ইউবি