শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আমতলীতে জমিজমার বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ২০:২২

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আমতলী উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত বৃদ্ধ সোনা মিয়া শুনু হাওলাদারের (৭০) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সোনা মিয়ার হত্যার সাথে জড়িত তার ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তার সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

জানাগেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সাথে তার ফুফুাতো ভাই পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কাঞ্চনবাড়িয়া গ্রামের মেনাজ ফকিরের সাথে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন লোক নিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া জমি চাষে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফা ও তার লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে মারধর শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। সোনা মিয়াকে রক্ষায় তার ছোট ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার এগিয়ে গিয়ে মেনাজ ফকিরের পা জড়িয়ে ধরে আকুতি মিনতি করে ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা চায়। কিন্তু তাতে তার মন গলেনি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী সোনা মিয়াকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। ঘাতক মেনাজ ফকির ও তার লোকজন সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে বীরদর্পে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ ২০-২২ জন সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

ইত্তেফাক/এমএএম