শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টাঙ্গাইলে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০১:৪৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গতকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রায় তিন হাজার হেক্টর কাঁচা ও আধা পাকা বোরো ধান মাটিতে মিশে গেছে। অপর দিকে ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যেল ব্লাইট রোগে বোরো ধানের শীষ পুড়ে ধান গাছ সাদা ও চিটা হয়ে যাচ্ছে।  

বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত সারে আটকার দিকে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড় ও বৃষ্টিতে বোরো ধান মাটিতে মিশে যায়। মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাতগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ঝড় ও বৃষ্টিতে বোরো ধান মাটিতে মিশে গেছে। এছাড়া গত ১৫-২০ দিন পুর্বে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান গরম বাতাসে পুড়ে ধানে চিটা হয়ে গেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর মির্জাপুর পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ২১ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো আবাদের লক্ষামাত্রা অর্জিত হয়। গতকাল বুধবার রাতে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রায় তিন হাজার হেক্টর কাঁচা ও আধা পাকা বোরা ধান মাটিতে মিশে গেছে। 

অপর দিকে ফতেপুর, লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ধান ক্ষেত পুড়ে ধানে চিটা হয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকগন জানিয়েছেন। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হচ্ছে ফতেপুর, সলিমনগর, যুগিরকোপা, বান্ধরমারা, গোড়াকি, গেড়াকি, বান্দাচালা ও বেলতৈল গ্রামে। সলিমনগর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল হক জানান, গত ১৫-২০ দিন পুর্বে বোরো ক্ষেতের কচি ধানে মড়ক দেখা দেয়। প্রথমে ধান গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সাদা হয়। তারপর ধানের ছড়া কাল হয়ে মরে যায়। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, রাতে ঝড় ও বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান মাটিতে মিশে গেছে। যে সব জমির ধান পুরোপুরি পেকে গেছে সেগুলো দ্রুত কেটে ফেলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

ইত্তেফাক/এনএ