মাদারীপুরের শিবচরে কাঠালবাড়ি ঘাটে দুর্ঘটনার শিকার সেই স্পিডবোটটির চালক মো. শাহ আলম (৩৮) ইয়াবা ও গাঁজায় আসক্ত ছিলেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডোপ টেস্টের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শশাংক চন্দ্র ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মো. শাহ আলম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভাতা ঈদগাহপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২৬ জন যাত্রী। এতে আহত হন স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনার পরে অবৈধ স্পিডবোটের চালক মো. শাহ আলমকে গুরুতর আহতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে প্রশাসনের নির্দেশনায় ওই চালকের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে আহত ওই চালককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ডোপ টেস্টের কিট মাদারীপুরে না থাকায় ঢাকা থেকে কিট সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশনায় ওই চালকের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। ডোপ টেস্টে স্পিডবোট চালকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি এমফিটামিন (ইয়াবা) ও মারিজুয়ানা (গাঁজা) সেবনে আসক্ত। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, দুর্ঘটনার আগে চালক মাদকসেবন করেছেন। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। ডোপ টেস্ট থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসবে। এছাড়াও কোনো মাদকাসক্ত স্পিডবোটচালক যেন না থাকতে পারে বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা হবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোন নৌযান চলতে দেওয়া হবে না।
ইত্তেফাক/এমআর