শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিমুলিয়ায় ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

আপডেট : ০৮ মে ২০২১, ১৩:০০

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে আজ শনিবার (৮ মে) ভোর থেকে এই নৌরুটে সকল ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

তবে ঈদকে সামনে রেখে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং শত শত যানবাহন। সব জায়গায় গাদাগাদি। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এমনকি অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। তবে যাত্রীরা কেউ কেউ বলেছেন, তারা জানেন না যে ফেরি বন্ধ। ফেরিগুলো ঘাট থেকে দূরে মাঝ নদীতে নোঙর করা হয়েছে।

ছবি: আব্দুল গনি

বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘাটে মানুষের চাপ বেড়েছে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

ছবি: আব্দুল গনি

সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে যায় মানুষ। পরে ফেরিটি এই মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখে। কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরিয়ে জনতাকে নামিয়ে দেয়।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে আবার হেঁটে পরিবার নিয়ে ঘাটে পৌঁছেছেন। এখন ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এমনকি অনেকের কাছে ফিরে যাওয়ার ভাড়া পর্যন্ত নেই। আবার কেউ কেউ মনে করছেন একটা সময় ফেরি ছাড়বে তখন তারা যাবেন। তাই ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন তারা।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পদ্মা পাড়ির কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। লঞ্চ স্পিডবোট, ফেরি, ট্রলার সব বন্ধ। প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। নদীতে নৌপুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। সকালে মাওয়া মৎস্য আড়তে পাশে পদ্মা নদীতে ট্রলারে করে মানুষ পদ্মা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দেয়। ঘাটে পুলিশ সেনাবাহিনী, বিজিবি রয়েছে।

ইত্তেফাক/এএএম