শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট হয়ে আজও ছুটছেন ঘরমুখী মানুষ

আপডেট : ১৫ মে ২০২১, ১৬:৪০

পবিত্র ঈদুল ফিতর ছিল শুক্রবার (১৪ মে)। ঈদ শেষ হলেও ঘরে ফেরা শেষ হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। ঈদের পরদিন আজ শনিবার (১৪ মে) সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের প্রচুর ভিড় রয়েছে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার রুট এখনো ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখর।

সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে ফেরিগুলো শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ছে। যাত্রীদের পাশাপাশি ফেরিতে হালকা যানবাহনও দেখা যাচ্ছে। তবে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় এখনো তেমন শুরু হয়নি। বাংলাবাজার থেকে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়েই ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

নৌরুটে সবগুলো ফেরি চলমান রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাত্রাপথে ২ ফেরিতে প্রচন্ড গরমে হুড়োহুড়িতে ৫ জন নিহত হওয়ার পরও ফেরি সার্ভিস গতিশীল হয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ঈদের দ্বিতীয় দিনেও শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। যারা ঈদের আগে বাড়ির ফিরতে পারেননি, তারা এখন বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এখনো প্রচুর। প্রত্যেকটি ফেরিতেই প্রচুর যাত্রী রয়েছেন। একইসঙ্গে হালকা যানবাহনও রয়েছে ফেরিতে। 

মিরাজুল ইসলাম নামের টেকেরহাট এলাকার এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে বাড়ি যেতে পারিনি। তাই আজ যাচ্ছি। ভেবেছিলাম, ফেরিতে ভিড় কম হবে। কিন্তু দৃশ্য উল্টো। আজও প্রচুর ভিড় রয়েছে।’

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ফেরিঘাটের সবগুলো ঘাট চালু থাকায় শিমুলিয়া থেকে একযোগে তিন থেকে চারটি ফেরি যাত্রী ও হালকা যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছে। তবে ঢাকায় ফেরার চাপ এখনো বাড়েনি। রবিবার ভোর থেকে ঢাকাগামী চাপ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা বলেন, ‘ঘাটে আজও শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। পারাপারের জন্য আমাদের সকল ফেরি চালু রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বাংলাবাজার থেকে অল্প যানবাহন নিয়ে বা কোন কোন ক্ষেত্রে খালি ফেরি শিমুলিয়া পাঠানো হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এএএম