বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতফেরত ৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ধরা পড়েছে করোনা

আপডেট : ১৭ মে ২০২১, ১০:৫০

ভারতের শিলিগুড়ি সেক্রেটহার্ট স্কুলে অধ্যায়নরত ও ভারত থেকে আসা তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রবিবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের বিষয় জানা যায়। 

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাস কিনা এটা জানা যায়নি। আবারও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে বলে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ডা: মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় পরীক্ষার পর জানা যাবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাস কি না।   

জানা গেছে, গত শনিবার (১৫ মে) ওই ভারতীয় স্কুল থেকে ফেরত আসা ২৬ জন শিক্ষার্থীর নমুনা সংগ্রহ করে ওই দিনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। শিক্ষার্থীরা হলেন- মাধবদী জেলার নরসিংদীর উপজেলার গোবিন্দ চন্দ্র পালের ছেলে জয় চন্দ্র পাল (২০), ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার সৈয়দ আসলাম শাহীনের ছেলে সৈয়দ মোঃ ইয়াছিন (১৬) ও ঢাকার কলাবাগান এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৭)। এদের মধ্যে ফয়সাল হোসেন গত ২ মে এবং জয় চন্দ্র পাল ও ইয়াছিন গত ৩ মে তারিখে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

প্রবেশ করার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের নিকট সামটাইমস আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। সাথে তাদের অভিভাবক ও বাবা-মা রয়েছে। 

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন ডা: কে, এম তানজির আলম বলেন, করোনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। এজন্য তিন জনই সামটাইমস আবাসিক হোটেলে আইসোলেশনে থাকবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অপরদিকে ভারতীয় পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন হয়ে ফেরত আসা যাত্রীরা বেপরোয়া চলাচল করছে। ভারতীয় উদ্বেগজনক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন চেষ্টা করেও মানাতে পারছেন না কোনো বিধি নিষেধ। ফলে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের এবং পাটগ্রাম উপজেলার স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে প্রবল ভীতি দেখা দিয়েছে। 

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, ভারত ফেরত শিক্ষার্থীদের সাথে থাকা অভিভাবকরা অবাধে বুড়িমারী ইউনিয়নের বাজারে চলাফেরা করছে। বাধা করলে কর্ণপাত করে না। ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ির চালকদেরকেও সর্তকভাবে গাড়িতে থাকার অনুরোধ ও যত্রতত্র চলাফেরায় নিষেধ করা হলেও কেউ এসব কথা শুনছেন না। স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাকের সাথে চালকরা প্রবেশ করছেন। বুড়িমারী ইউনিয়নের জনগণ ভারতীয় উদ্বেগজনক করোনাভাইরাসের ভয়ের মধ্যে রয়েছে। 

ইত্তেফাক/এসজেড