বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

আপডেট : ১৭ মে ২০২১, ১৬:৫১

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগের পরও নিয়ন্ত্রণের সব চেষ্টা অনেকাংশে ব্যর্থ করে দিয়ে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ফিরছে তারা। ফেরিতে ও ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর হচ্ছে না। নিশ্চিত করা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।  

সরেজমিন সোমবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। জীবন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে।

ছবি: ইত্তেফাক

এদিকে মাহিন্দ্র অটোরিকশার যাত্রীদের ফেরিঘাট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে বাস টার্মিনালে নামানো হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ওখান থেকে পায়ে হেঁটে তারা ফেরিতে উঠছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকেও এখনো আসছে হাজারো যাত্রী। করোনা দুর্যোগকালে যাওয়া-আসার এই প্রতিযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা ফেরিগুলোতে। তবে রোডে কোন প্রকার গাড়ির কোন সিরিয়াল দেখা যায়নি, দুরপাল্লার পরিবহন না থাকায় এবং পণ্যবাহী ট্রাক কম থাকায় ফেরিঘাটে কোন গাড়ির চাপ নেই। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় গাড়ি ও যাত্রীরা কোন ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।

ছবি: ইত্তেফাক

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় কর্মস্থলগামী একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের আগে বাড়িতে আসার সময় নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেও পাটুরিয়া প্রান্তে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কিন্তু ফেরার সময় অনেকটা সাচ্ছ্যন্দে সরাসরি ফেরিতে উঠেতে পারছি। অন্যান্য বছর ফিরতি পথে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবার সেটাও হচ্ছে না। তবে এমন ঠাসাঠাসি করে ফেরি পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

ফরিদপুরের মধুখালী থেকে ঢাকাগামী শহিদুল নামের এক যাত্রী জানান, বাড়িতে আসার সময়কার দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও যানজট এড়াতে আগের ভাগেই ঢাকায় রওনা হয়েছি। দু’একদিন পরে গেলেও কোন সমস্যা হতো না। এসে দেখছি সিদ্ধান্তটা সঠিকই নিয়েছি কোথাও কোন যানজটে পড়তে হয়নি। তবে এমন ঠাসাঠাসি করে ফেরি পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। রুটের সকল ফেরি সচল থাকায় সরাসরি আগত যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। তবে যেকোন সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহনের লোড ছাড়াই ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটে এনে যানবাহন পারাপার করা হবে। 

ইত্তেফাক/এএএম