কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জলমহাল নিয়ন্ত্রণ (বিলের আধিপত্য) নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, দিগদাইড় গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত পিয়ার হোসেনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রাশিদ (৬৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের ডুবাইল, আমাইল ও হাজ্জা বিলের আধিপত্য নিয়ে দিগদাইড় পূর্বপাড়ার একই এলাকার লোকজনের মধ্যে বহুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার বিকাল ৬টার দিকে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া বল্লমের আঘাতে মতি মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডুবাইল বিলের পাশ থেকে আবদুর রাশিদ নামে একজনের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং গুরুত্বর আহত সালামের ছেলে হাবু মিয়া (৩০) ও ডেন্ডু মিয়ার ছেলে জিল্লু মিয়াকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, দিগদাইড় গ্রাম পুরোটাই পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। নিহতদের বাড়িতে গৃহিণীদের আর্তচিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনা যায় । ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সদর বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ আছে। রাস্তাঘাটে হামলায় ব্যাবহৃত স্তুপকৃত ভাঙা ইট লোকমানবহীন রাস্তা দেখলে মনে হয় অঘোষিত হরতাল চলছে।
তাড়াইল থানার ওসি মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহত দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসজেড