শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চলনবিলে নিষিদ্ধ জালে ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার

আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, ০৮:৩৮

চলনবিলে এসেছে বর্ষার নতুন পানি। পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন জেলেরা। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন তারা। যার অধিকাংশই ডিমওয়ালা মা-মাছ। এসব মাছ নিধন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে চলনবিলে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার আটটি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের চলনবিলাঞ্চলে এখন চলছে অবৈধ নানা উপায়ে মা-মাছ শিকার। এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই, চায়না ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনে ও রাতে মা-মাছ শিকার করে হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। সরেজমিনে গত এক সপ্তাহে চাটমোহরের বিভিন্ন হাটবাজার ও মাছের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে টেংরা, বাতাসী, পুঁটি, মলা, বোয়াল, শোল, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা-মাছ।

চলনবিলে ডিমওয়ালা মা মাছ শিকারের মচ্ছোব

স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা-মাছগুলো। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলো ডিম ফুটাতে থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী ডিম এবং মা-মাছগুলো শিকার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিলে পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এলাকার লোকজন ও মৎস্যজীবীরা। এতে নষ্ট হচ্ছে ডিমগুলো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম জানান, চলনবিলে এখন দেশীয় মাছের ডিম পাড়ার মৌসুম চলছে। এ সময় অনেকে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ শিকার করছে। ডিমওয়ালা মাছ শিকার বন্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

ইত্তেফাক/এমআর