নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা একডালা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষের ভাগ্যে এখনো শহরের সুযোগ-সুবিধা জোটেনি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে এখনো মাটির পরিবর্তে ইটের ছোঁয়াও স্পর্শ করেনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একডালা ইউনিয়নের ঘাটাগন ব্রিজ হতে গুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫শত ফুট, পার্শ্ববর্তী বগুড়া জেলার আদমদীঘি ইউনিয়নের চাঁপাপুর কালিগঞ্জ রাস্তার জিসি থেকে দীঘিরপাড় হয়ে গুছগ্রামের গুলিয়াব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৩কিলোমিটার ও উপর তালিমপুর কাঁঠালতলী হতে নিচতালিমপুর পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার মাটির রাস্তায় এখন পর্যন্ত কোন সংস্কার হয়নি।
যার কারণে ঘাটাগন, গুলিয়া, চাঁপাপুর, কালিগঞ্জ, দীঘিরপাড়, উপর তালিমপুর, নিচতালিমপুরসহ শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে বর্ষা মৌসুমে হাঁটু কাঁদার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। গ্রামীণ এই রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হওয়ার কারণে বিশেষ করে কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের কৃষকরা বছরের পর বছর কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম থেকে বিরত হয়ে আসছে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায় করা হয়নি।
রানীনগরের বাসিন্দারা বলেন সরকারের দেওয়া অর্থ রানীনগরের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের লুটপাটের কারণে দেশ স্বাধীনের পরও এই ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত মাটির জায়গায় ইট সোলিং এর ছোঁয়াও স্পর্শ করেনি। অতীত-বর্তমান চেয়ারম্যানের অনিয়ম আর দুর্নীতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী।
একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন প্রতি বছর সরকারের কাছ থেকে যে পরিমাণ বরাদ্দ পেয়ে থাকি তা দিয়ে এই সব রাস্তার কাজ করার চেষ্টা করে আসছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। প্রতিবছর সংস্কার কাজের জন্য যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবুও গ্রামীণ জনপদের জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীণ রাস্তাগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন বিভাগে পাঠিয়েছি।
ইত্তেফাক/এনএ/আইজে