শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা দৌলতদিয়া ঘাট 

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৩:৫২

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। ব্যস্ততম এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ঈদ পরবর্তী সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্ত একেবারেই ফাঁকা।

যে ট্রাক টার্মিনালে শত শত গাড়ি পার্কিং করা থাকতো সেই টার্মিনাল এখন পুরো ফাঁকা পড়ে আছে। ব্যস্ততম ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বছরের অন্য সময় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো সেই সড়কে নেই কোন গাড়ি।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই নৌপথে শুধুমাত্র রোগীবাহী গাড়ি ও কিছু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া তেমন কোন গাড়ি পারাপার হতে দেখা যায়নি। তবে ফেরিঘাটে সাধারণ যাত্রীদেরকে ফেরিতে পারাপার হতে দেখা গেছে। এ সকল যাত্রীরা বিভিন্ন উপায়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল যোগে বা পায়ে হেঁটে ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছে।

এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন মোড় মোড়ে পুলিশের কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি ফেরিঘাটের প্রবেশ মুখেও পুলিশ অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন জানান, এই নৌরুটে জরুরি সেবা প্রদানের জন্য বর্তমানে ৮টি ফেরি রাখা হয়েছে। তবে কোন ফেরি খালি পারাপার হবে না, সম্পূর্ণ লোড নিয়ে ঘাট থেকে ছাড়বে। 

যাত্রী পারাপারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, ফেরিতে সকাল থেকেই কিছু যাত্রী পারাপার হচ্ছে, এরা কেউ মোটরসাইকেলে, রিকশায়, কেউবা পায়ে হেঁটে ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছে।

ইত্তেফাক/এএএম