শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ওসির ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:২১

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি ফোন নম্বর ক্লোন করে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির আহমদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই সহযোগী বিকাশ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো-নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহী নগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদুর রহমান (৩৪) ও চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) থানার মান্দারতলী গ্রামের সেফুল ইসলামের ছেলে নবীর হোসেন (৩২)। 

আজ বুধবার সকালে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরজব্বর থানার এসআই মো. সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত  দুইজন বিকাশ এজেন্ট। এরা মূল প্রতারকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। কারা টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে তাদের পরিচয় দিতে পারেনি তারা। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেন্বর আমার পরিচয় দিয়ে আমার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে চরওয়াপদা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মনির আহমদকে কল করে টাকা চাওয়া হয়। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তাকে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে এ টাকা চায় প্রতারকচক্র। এ সময় এক প্রতারক তার সঙ্গে থাকা একজনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই ম্যাজিস্ট্রেট অন্য অফিসারদের ম্যানেজ করার জন্য চেয়ারম্যানকে ৮টি বিকাশ নম্বরে চার লাখ টাকা দিতে বলে। পরে চেয়ারম্যান মনির আহমদ তাদের কথামতো ৮টি বিকাশ নম্বরে চার লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। 

ওসি আরও জানান, টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পর প্রতারক চেয়ারম্যানকে থানায় এসে আমার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে বলেন। ওই দিন রাত সড়ে ১০টার দিকে তিনি থানায় এসে আমার সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। ওই রাতেই চেয়ারম্যান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বিকাশের হটলাইনে যোগাযোগ করে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা পেমেন্ট স্থগিত করার ব্যবস্থা করি।   

এ ঘটনার মূলহোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এএএম