মাস্ক না পড়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করাকে কেন্দ্র করে এক রিকশাচালকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন দায়িত্বরত এক পরিছন্নতাকর্মী। পরে স্থানীয়রা আহত রিকশাচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুলবাড়ী হাসপাতালের মূল গেট বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা শতশত মানুষ। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রিকসা ভাড়া করে মোছা. হালিমা নামের এক যাত্রী রিকসায় উঠেন।
রিকশাচালক হাসানুর রহমান ওই যাত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল গেটে পৌঁছালে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাসের মুখে মাস্ক না থাকায় প্রবেশ করতে বাঁধা দেন এবং মাস্ক পড়ে হাসপাতালে প্রবেশের জন্য বলেন।
কিন্তু রিকশাচালকের মুখে মাস্ক না থাকায় দ্রুত যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালক সাহানুরকে গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস। এতে মাথা ফেটে যায় রিকশাচালকের। রক্তাত অবস্থায় সাহানুর মাটিতে লুটে পড়লে আশপাশের লোকজন তাকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আহতের স্বজনরা হাসপাতাল গেটে অবস্থান নেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জুন চন্দ্র দাসের শাস্তির দাবী করে হাসপাতালের মূল গেট বন্ধ করে শতশত নারী-পুরুষ অবস্থান নেয়।
আহতের মা আম্বিয়া বেওয়া জানান, ‘মোর ছেলেটার মাথায় ৮টা সেলাই দিয়েছে বাহে। মোর ছেলেটা বাঁচবে কিনা একমাত্র আল্লায় যানে বাহে। মুই ঐ পরিছন্নকর্মী উপযুক্ত বিচার চান বাহে?
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার মোছা. তাসলিমা নাসরিন জানান, রিকসাচালক সাহানুর রহমানকে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার মাথায় ৮টি সেলাই ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসআই