শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৪ মাসেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্ল্যাগ প্রোটেকশন আইনের বিধিমালা

আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:২৫

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা আইন (ফ্ল্যাগ প্রটেকশন) ২০১৯-এর বাস্তবায়ন ও বিধিমালা সহজীকরণ এবং ওয়েভার গ্রহণসংক্রান্ত জটিলতার এখনো সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা পরামর্শ ও সুপারিশ পেশ করা হয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র ইত্তেফাককে জানায়, এই আইনের বিধিমালাসমূহের একটি খসড়া প্রণয়নের কাজ শেষ করা হয়েছে। এই খসড়া চার মাস আগে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় আইনটি অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিধিসমূহ পর্যালোচনার জন্য বসবে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ ইত্তেফাককে বলেন, বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে ফ্ল্যাগ প্রটেকশন আইনের খসড়া বিধিমালার ৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারা সংশোধন ও সহজীকরণ এবং ওয়েভার গ্রহণে বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ মালিক সমিতির (বিওজিএসওএ) অনাপত্তি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে গত ২৯ আগস্ট নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ স্বার্থরক্ষা আইন, ২০১৯ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐ আইনের ৩ নম্বর ধারার উপধারা নম্বর ৩ অনুসারে ওয়েভার প্রাপ্তির লক্ষ্যে সমুদ্রগামী জাহাজে পণ্য বোঝাই করার কমপক্ষে ১৫ কার্যদিবস আগে পূর্বেনির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করার ৩ নম্বর উপধারা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টির এখনো পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার কে এম জসিমউদ্দিন সরকার ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমরা ফ্ল্যাগ প্রটেকশনের বিধিমালা নিয়ে কাজ করেছি। ইতিমধ্যে একটি খসড়া বিধিমালাও তৈরি করেছি। মহাপরিচালকের নির্দেশে বিধিমালার কয়েকটি প্রশাসনিক বিষয় সহজীকরণের জন্যও আমরা কাজ করেছি। খসড়াটি গত ১৮ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাঠানো হয়েছে। এটি নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। আমরাও আশা করি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের দিকে সবাইকে নিয়ে বসতে পারব।’

ইত্তেফাক/জেডএইচডি