শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পদ্মার ভাঙনে মুহূর্তে বিলীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৩২

রাজবাড়ী জেলার পদ্মার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন, মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে একই স্থানে ২ বার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এবার এই ভাঙ্গনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে আবার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চরসিলিমপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দুপুর থেকে ভাঙ্গনে ১০০ মিটার এলাকার সিসিব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর আমরা স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিলো। কিন্তু ভাঙন শুরু হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থী উপস্থিতি এমনিতেই কম ছিল এতোদিন। কিন্তু আজ সকালে স্কুলের বাম পাশ থেকে ব্লক সরে যাওয়ায় আস্তে আস্তে পুরো ভবনটিই এখন নদীগর্ভে বিলীনের পথে। 

No description available.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মো. সায়েফ জানান, পাশেই আমরা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি পেয়েছি। জৈনক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় স্কুলের নামে জমিটি দিতে চেয়েছেন। আপাতত সেখানে টিনশেড ঘর তুলে স্কুলের কাজ পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হবে।

মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, এই পদ্মার ভাঙ্গনে এই স্কুলটি আজ বিলীন হয়ে গেল। এরফলে এই চরসিলিমপুর এলাকার আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ এখন বাস্তুহারা হবার শঙ্কায়।

No description available.

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসিমা বলেন, স্কুল বিল্ডিংটি নদীতে চলে গেলে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আরেক শিক্ষার্থী রুহুল বলেন, আমাদের স্কুলটা রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। তা না হলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করব? 

এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মায় পানি কমার ফলে বেড ম্যাটিরিয়াল সরে যাওয়ায় ব্লক ধ্বসে যায়। আমরা ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছি এবং আগামীকাল থেকে বালি ভর্তি জিও টিউব ফেলার কাজ করবো।


ইত্তেফাক/এমএএম