তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে তালা থানায় মামলা হয়েছে। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অফিসার ইনচার্জ জানান, শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ২২ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা দফায় দফায় ভিকটিম ও তার পরিবারকে হুমকি প্রদানসহ মোটিভ ঘোরাতে ব্যাপক তৎপরতা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর (১৬) পিতা জানান, পিতা-মাতার উস্কানিতে জাহিন শেখ ও তার ৪/৫জন বন্ধু মিলে ২১ সেপ্টেম্বর রাতে কৌশলে তার শিশু মেয়েকে অপহরণ করে। পরদিন সকাল ১১টার দিকে মেয়ে একা বাড়িতে ফিরে ধর্ষণের কথা জানায়।
ভিকটিম জানান, ওই রাতে জাহিনসহ তার ৪/৫জন বন্ধু তাকে অপহরণ করে আঠারোমাইল এলাকার দিকে তার এক খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই খালাবাড়ির লোকদের সহযোগিতায় জাহিন রাতে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে জাহিন তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে। একপর্যায়ে জাহিনের পিতা, মাতা ও খালা ঘোনা গ্রামের জমির উদ্দীন শেখের মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তমা খাতুন এসে স্কুলছাত্রীকে মারধর করে এবং হুমকি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ, মারপিট ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা (১১/২১) হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ এছাড়া শুক্রবার সাতক্ষীরা থেকে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোসহ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট’র নিকট ২২ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইত্তেফাক/এসজেড