শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যমুনার তীর সংরক্ষণ কাজের নব্বই মিটার এলাকা ধসে গেছে

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৬:১১

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে যমুনার তীর সংরক্ষণ কাজের ৯০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ঢেকুরিয়া-বিলচতল জিরোপয়েন্টের ১০০ মিটার ভাটিতে এই ধস নামে। জানা গেছে,  রবিবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হয়ে সোমবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টা পর্যন্ত নতুন করে দুটি স্থানে অন্তত ৯০ মিটার ধসে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতেই নদীর তীর ঘেঁষে বসবাসরত প্রায় দশটি বাড়ি ও তিনটি টং দোকানঘর সরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়রা। গতবছরও একই স্থানে ভাঙন ধরেছিল। গত তিন দিন আগেও এই স্থানের ১০০মিটার উজানে তীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। যমুনার পানি কমতে কমতে এই পয়েন্টে নদীর প্রশস্ততা কমে হয়েছে প্রায় তিনশ মিটারে। পূর্ব পাশে জেগে উঠেছে বিশাল চর। এ কারণে ডান তীর সংরক্ষণ কাজের পাশ ঘেঁষে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড স্রোত। পানিতে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের দরুন তীর সংরক্ষণ কাজের জিওব্যাগ ও বোল্ডারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ধস নেমেছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা  আব্দুস সোবহান, খলিলুর রহমান, হোসেন আলী,  জানান, রবিবার রাতে প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। ভয় পেয়ে বাইরে গিয়ে দেখি  বোল্ডার ধসে যাচ্ছে। ভয়ে চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয় তাদের সহযোগীটায় তিনটি ঘর ও একটা টং দোকান ঘর অন্য জায়গাতে সরিয়ে নিয়েছি। এছাড়া আশপাশের আরও আটটি বাড়িও ভয়ে সরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, যমুনায় পানি কমতে থাকায় চর জেগে উঠায় পানি প্রবাহের পথ সরু হয়ে যাওয়ায় নদীর ডান তীরে পানির স্রোত বেড়েছে। ফলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। যদি চর কেটে পানি প্রবাহের পথ প্রশস্ত করে দেয়া যায় তবে স্রোত সোজাসুজি তীরে আঘাত হানতে পারবে না এর কাড়নে তীর সংরক্ষণ কাজে আর ভাঙন সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা কম থাকবে।


 
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, যমুনায় পানি কমতে থাকায় নদীর তলদেশে প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে যার কাড়নে নির্মাণাধীন তীর সংরক্ষণ কাজের জিওব্যাগ ও বোল্ডারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ধস নেমেছে। এতে ভয়ের কিছু নেই। রবিবার রাত থেকেই ভাঙন স্থানে এক হাজার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে । 

ইত্তেফাক/ইআ/এএইচপি